বাংলার নবজাগৃতি

বাংলার নবজাগৃতির ইতিহাস লেখার এই হল, একমাত্র কৈফিয়ত। এই ইতিহাস আজ সকলকেই লিখতে হবে। যে বাঙালি, বাংলাদেশ যার জন্মভূমি, তাকেই লিখতে হবে। বাংলার জাতীয় ঐতিহ্য চরিত্র শিক্ষাদীক্ষা সংস্কৃতি যখন ভিন্ন, যখন ক্ষমতালোভী মুনাফাখোর চোরাকারবারি পেশাদার হত্যাকারী ও চরিত্রহীন চাটুকারদের তর্জন-গর্জনে বাংলার জনজীবন সশঙ্ক, যখন শক্তের প্রসাদজীবী উচ্ছিষ্টলোভী অমেরুদণ্ডী ভক্তবৃন্দ বাংলার সমাজের ও সংস্কৃতির কর্ণধার, যখন বিবেক বুদ্ধি বিচার যুক্তিনীতি রুচি সৎসাহস ও সত্যবাদিতা বাংলার মাটি থেকে নির্বাসিতপ্রায়, যখন ক্লীবের ধর্ম বাংলার যুগধর্ম, তখন বাংলার নবযুগের নবজাগৃতির ইতিহাস রচনার গুরুদায়িত্ব প্রত্যেক বাঙালিরই গ্রহণ করা উচিত। সকলে মিলে বাংলার প্রবহমান পরিবর্তনশীল ইতিহাসের ধারাটি অনুসন্ধান করা উচিত। যার যত দূর সাধ্য সে তত দূর করবে। তাতে যাঁরা এই ধারার অনুসন্ধান করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও অনেকে যাঁরা করবেন তাঁদের মধ্যে আমি একজন। “ক্ষুদ্র কীট যোজনব্যাপী দ্বীপ নির্মাণ করে – বঙ্কিমচন্দ্রের এই ভরসাতেই আমি এ কাজে গত

কয়েক বছর ধরে আমার সমস্ত শক্তি ও উদ্যম নিয়োগ করেছি। যে কাজ একের কাজ নয়, সকলে মিলে করতে হবে, তার অপূর্ণতা ও ত্রুটিবিচ্যুতি সম্পর্কে আমি সচেতন।

বইটি মোবাইলে পড়তে স্কেন করুন

বাংলার নবজাগৃতি