শিক্ষা অজ্ঞতা, কূপমণ্ডূকতা, হীনমন্নতা ও বৈরী মনোভাব দূর করে মহৎ জীবন গড়ার পাথেয় তৈরি করে দেয়। শিক্ষার আলো আসে বই থেকে। এ কারণে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লেখকগণ রচনা করে গেছেন বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থ যা যারা সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবজীবন উন্নততর হয়েছে। মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ কৃপায় আমি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে সৃজনশীল গ্রন্থাবলীর পাশাপাশি প্রায় ৬৫টি (সর্বমোট) ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়ক পাঠ্যপুস্তক রচনায় ব্রতী হই, যার বেশির ভাগই উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের উপযোগী। এ সমস্ত গ্রন্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত। নভেল পাবলিশিং হাউস কর্তৃক মে, ২০০৫ সালে সর্বপ্রথম মুসলিম শিল্পকলা ও স্থাপত্য” শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশের পর উক্ত প্রকাশনা সংস্থা ২০০৬ সালের বই মেলায় প্রামাণ্য গ্রন্থ “আরব জাতীর ইতিহাস” বের করে। তাদের উৎসাহ ও আগ্রহে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির মাস্টার্স পাঠসূচির অন্তর্ভুক্ত “আধুনিক মুসলিম বিশ্ব : তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান” শীর্ষক গ্রন্থটি রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এই রচনায় অনুপ্রেরণা আসে মূলত মধ্যপ্রাচ্যের মত তেল সমৃদ্ধ দেশসমূহকে নিয়ে পরাশক্তিদের প্রভাব বলয় সৃষ্টির অঞ্চ তৎপরতার কারণে। বলাই বাহুল্য যে, অটোমান সাম্রাজ্য ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় বিস্তৃত ছিল এবং এই বিশাল দেশ ঊনবিংশ থেকে বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিতে নিকট প্রাচ্য বা বর্তমান তুরস্কে সীমাবদ্ধ হল তা ইতিহাস স্বাক্ষ দেয়। তুর Sick man of Europe” পরিণত হয়।
