১৮৭০ খৃষ্টাব্দের ২রা আগষ্ট তারিখের ‘হিন্দু পেট্রিয়ট’ নামক উগ্র মুসলমান-বিদ্বেষী ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় একটি বৃহৎ মন্তব্য প্রকাশিত হয় ফারাজী, ওহাবী প্রভৃতি মুসলমান মজহাবগুলির আন্দোলনকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে। সেগুলিকে বলা হয় বিপজ্জনক সংস্থা, এমনকি বর্বরতা ও ধর্মান্ধতাহেতু তৎকালীন ভারতের ও ‘ন্যায়পরায়ণ’ ‘স্বার্থশূন্য মহাত্মা ইংরেজ বাহাদুরের প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন। অতএব তাদের ‘যদি আমাদের বুকের উপর শক্তি সঞ্চয় করতে দেওয়া হয় তাহলে রাষ্ট্রের সমূহ বিপদ ঘটতে পারে। এজন্যে সরকারের উচিত হচ্ছে, ফারাজী ও ওহাবীদের সম্বন্ধে এবং আরও যেসব সম্প্রদায় ভারতের ভিতরে ও বাইরে রাজনৈতিক উচ্চাশা পোষণ করে, সে সবের তন্নতন্নভাবে তদন্ত করা।’ আলোচ্য তিনটি প্রবন্ধে উপস্থাপিত এই প্রশ্নগুলির জওয়াব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্বার্থগন্ধী দৃষ্টি দিয়ে। প্রথম প্রবন্ধটি ১৮৩১ সালে সৈয়দ আহমদের মৃত্যুকাল পর্যন্ত, দ্বিতীয়টিতে তিতুমীরের ভূমিকা ও সৈয়দ আহমদের পরবর্তী নেতাদের কার্যকলাপ এবং তৃতীয় প্রবন্ধে বিলায়েত আলী ও ইনায়েত আলীর উদ্যম, কর্মপ্রবাহ ও তাঁদের মৃত্যু এবং সিত্তানার ঘাটি ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত মুজাহিদদের কর্মময় জীবনের আলোচনা আছে।