গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড)

প্রাচীন ও মধ্যযুগে এমন কি ঊনবিংশ শতকে কিংবা বিংশশতকের গোড়ার দিকেও ‘গৌড়’ শব্দটির ব্যবহার এত সীমিত অর্থে করা হ’ত না। গৌড়ের ইতিহাসের আধুনিক পাঠকের স্বার্থে আমাদের বলে নিতে হবে যে প্রাচীন ও মধ্যযুগে অনেকসময় ‘গৌড়’ ও ‘বাংলা’ এই দুটি শব্দ সমার্থক ছিল। অতি প্রাচীন কাল থেকেই গৌড় নামটি সুপরিচিত ছিল। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রেও গৌড় নামক জনপদের উল্লেখ আছে। একই গ্রন্থে সমকালীন বস্ত্রের প্রকারভেদ বোঝাতে ‘গৌণ্ড্রক’ ও ‘বঙ্গক’ শব্দ দুটিরও ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ পৌণ্ড্র এবং বঙ্গ এই দুটি অঞ্চলও খ্রীষ্টপূর্ব যুগে অপরিজ্ঞাত ছিল না। মহাস্থানগড়ে (বাংলা দেশের অন্তঃপাতী বগুড়া (জেলায় অবস্থিত) প্রাপ্ত একটি লিপিখণ্ডে পুণ্ড্রনগরের উল্লেখ তার অতিরিক্ত প্রমাণ। এই লিপিখও খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের। অপরপক্ষে বরাহমিহিরের বৃহৎসংহিতা বা বাৎস্যায়নের কামসূত্রেও° গৌড়ের উল্লেখ রয়েছে। বস্তুতঃ পূর্ব ও উত্তরভারতের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত একটি বৃহৎ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে অথবা উত্তর ভারতীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ হিসাবে গৌড়, পুণ্ড্র বা বঙ্গের উল্লেখ বহুতর।….

বইটি মোবাইলে পড়তে স্কেন করুন

গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড)