শেষবারের কারাবাসকালে নিভৃত নিঃসঙ্গ কারা কক্ষে বসে মরহম পাকিস্তানী রাজনীতির স্বৈরচারী গতি ধারা সম্বন্ধে পর্যালোচনা করে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার সিদ্ধান্ত ও মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন; কিন্তু স্বাস্থ্যগত কারণে এবং মানসিক ও বৈষয়িক উদ্বেগ অম্মন্তির দরুণ গ্রন্থ রচনায় হাত দিতে পারেননি, তবে আপন সিদ্ধান্তে তিনি অটল থাকেন। এই কারাবাস কালেই হয়ত তিনি অদৃশ্য ইংগিত পেয়েছিলেন যে তাঁর জীবনপ্রদীপ স্তিমিত হয়ে আসছে। তাই কারা মুক্তির পর তিনি তাঁর শেষ কথাটি প্রিয় দেশবাসীকে বলে যাবার উদ্দেশ্যে স্বগৃহে বসে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষ 13 ভক্তদের সহযোগিতায় ডিকটেশনের মাধ্যমে ১৯৬৭ সালের ২৮শে আগস্ট থেকে ২৭শে অক্টোবর এই দু’মাসের ভেতর এ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি রচনা করেন। তাঁর চিন্তাধারা অসাধারণ স্বচ্ছ ছিল বলেই ডিকটে শনের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছিল। কোন কিছু রচনাকালে মরহম সাধারণতঃ এই পন্থাই অবলম্বন করতেন; পরে অবশ্য প্রয়োজনানু সারে সেই রচনার সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন ও পূন বিন্যাস করতেন। কিন্তু এই পাণ্ডুলিপি সংশোধন ইত্যাদি করার অবসর তিনি জীবনে পাননি।